Tuesday, September 20, 2016

কোনো ধরনের অপচয় পছন্দ করতেন না নবিজি [সা.]শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন।

অপচয় বিবেকবান কোনো মানুষেরই পছন্দেও কাজ হতে পারে না। কারণ অপচয় ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। হালাল কাজে চাহিদার বেশি খরচ করাকে অপচয় বলা হয়। যা কুরআনের ভাষায় ‘ইসরাফ’ বলা হয়। পবিত্র কুরআনে অপচয়কে শয়তানের কাজ বলা আখ্যায়িত করা হয়েছে।
দৈনন্দিন জীবনে বুঝে কিংবা না বুঝে আমরা অনেক ধরনের অপচয় করি। বিনা প্রয়োজনে পানি ব্যয় করাও এক ধরনের অপচয় ও অন্যায়। রাসুল [সা.] বলেছেন, ‘তুমি যদি সাগর পাড়ে বসেও পানি অতিরিক্ত ব্যবহার করো, তাও অপচয় হবে।’ প্লেটে খাবার নিয়ে ফ্যাশন বা সৌজন্যবোধ মনে করে ইচ্ছাকৃতভাবে খাবার না খাওয়াও অপচয়। পবিত্র কুরানে ঘোষণা হয়েছে,‘এবং তোমরা আহার কর ও পান কর। কিন্তু অপচয় করো না। তিনি অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ৩১)
অফিস-আদালত, বাসা-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, টয়লেটসহ অপ্রয়োজনীয় স্থানে প্রায়ই আমরা বিদ্যুতের অপচয় করি। বিশেষ করে কোনো দিবস বা অনুষ্ঠান হলে আলোকসজ্জা, লাইটিংয়ের নামে বিদ্যুতের অপচয় আমাদের জাতীয় জীবনে বিদ্যুৎ সংকট মহামারীর আকার ধারণ করেছে। যা রোধ করা সবার নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
অপচয় একটি গর্হিত কাজ। এ প্রসঙ্গে রাসুল [সা.] বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের জন্য তিনটি বস্তু অপছন্দ করেন। যথা- ১. অনর্থক এবং বাজে কথা বলা; ২. নিষ্প্রয়োজনে সম্পদ নষ্ট করা এবং ৩. অত্যধিক প্রশ্ন করা।’(বুখারি) তাই আমাদের উচিত মধ্যম পন্থ্যা অবলম্বন করা। অবশ্য অপচয়ের বিষয়ে আমাদের করণীয় আল্লাহ তাআলা কুরআনে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘এবং যখন তারা ব্যয় করে তখন তারা অপচয় করে না, কার্পণ্যও করে না বরং তারা আছে এতদুভয়ের মাঝে মধ্যম পন্থায়।’ (সুরা ফোরকান : আয়াত ৬৭)। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে অপচয় করা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
আরো পোষ্ট পেতে, আমাদের #page ঘুরে আসুন। radioclassic.com

পুরুষের মাঝে সুগন্ধি মেখে নারীর চলাফেরা : কী বলে ইসলাম.শেয়ার করে পোস্টটি আপনার প্রোফাইল এ রেখে দিন।

আজকাল আতর, সেন্ট ইত্যাদি নানা প্রকার সুগন্ধি মেখে নারীরা ঘরে-বাইরে পুরুষদের মাঝে চলাফেরা করছে। অথচ মহানবী [সা.] এ বিষয়ে কঠোর সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, “পুরুষরা গন্ধ পাবে এমন উদ্দেশ্যে আতর মেখে কোনো মহিলা যদি পুরুষদের মাঝে গমন করে তাহলে সে একজন ব্যভিচারিণী বলে গণ্য হবে।” [মুসনাদে আহমদ; সুনান নাসাঈ; মিশকাত, হাদিস নং ১০৬৫]
অনেক নারী তো এ ব্যাপারে একেবারে উদাসীন কিংবা তারা বিষয়টিকে লঘুভাবে গ্রহণ করছেন। তারা সেজেগুজে সুগন্ধি মেখে ড্রাইভারের সাথে গাড়িতে উঠছেন, দোকানে যাচ্ছেন, স্কুল-কলেজে যাচ্ছেন; কিন্তু শরীআতের নিষেধাজ্ঞার দিকে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ করছেন না। নারীদের বাইরে গমনকালে শরীয়ত এমন কঠোরতা আরোপ করেছে যে, তারা সুগন্ধি মেখে থাকলে অপবিত্র হেতু ফরয গোসলের ন্যায় গোসল করতে হবে। এমনকি যদি মসজিদে যায় তবুও। নবী [সা.] বলেছেন, “যে নারী গায়ে সুগন্ধি মেখে মসজিদের দিকে বের হয় এজন্য যে, তার সুবাস পাওয়া যাবে, তাহলে তার সালাত তদবধি গৃহীত হবে না যে পর্যন্ত সে অপবিত্রতার নিমিত্ত ফরয গোসলের ন্যায় গোসল না করে।” [মুসনাদে আহমদ ২/৪৪৪; সহীহুল জামে‘, হাদিস নং ২৭০৩]
বিয়ে-শাদীর অনুষ্ঠানে, হাটে-বাজারে, যানবাহনাদিতে, নানা ধরনের মানুষের সমাবেশে, এমনকি রমযানের রাতে মসজিদে আসার সময় তথা সর্বত্র নারীরা যে সুগন্ধিযুক্ত প্রসাধনী আতর, সেন্ট, আগর, ধূনা, চন্দনকাঠ ইত্যাদি নিয়ে যাতায়াত করছে তার বিরুদ্ধে একমাত্র আল্লাহর কাছেই সকল অভিযোগ। অথচ শরীয়ত তো শুধু নারীদের জন্য সে আতরের অনুমোদন দিয়েছে যার রঙ হবে প্রকাশিত পক্ষান্তরে গন্ধ হবে অপ্রকাশিত। আল্লাহর নিকট আমাদের প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ না হন। অপগণ্ড নর-নারীর কাজের জন্য সৎ লোকদের পাকড়াও না করেন এবং সবাইকে সিরাতুল মুস্তাকীমে পরিচালিত করেন। আমীন!
আরো পোষ্ট পেতে, আমাদের #page ঘুরে আসুন। radioclassic.com

অস্ট্রেলিয়া আগামী বছর বাংলাদেশ সফরে আসবে

দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে গত বছর অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের। সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে সে সময় এই সফরটি স্থগিত করেছিল তারা।
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের সেই সিরিজটি আবার হবে ২০১৭ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে। অবশ্য সিরিজের দিন-তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।
তার আগে জুলাইতে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে পাকিস্তান আসবে বাংলাদেশ সফরে।
এই দুটি সিরিজের আগে অবশ্য বেশ কিছুদিন ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কোনো খেলা নেই। প্রায় সাত মাস ঘরের মাঠে বাংলাদেশের আর কোনো খেলা থাকবে না।
আর কয়দিন বাদে ঘরের মাঠে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ। এরপর ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের সব খেলা বিদেশের মাটিতে। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফর, ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফর, মার্চে শ্রীলঙ্কা, মে মাসে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং জুনে ইংল্যান্ডে আইসিসি চ্যাম্পিনস ট্রফি খেলতে যাবেন মাশরাফিরা।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ফিরতি সফরে আসবে শ্রীলঙ্কা। ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেবে বাংলাদেশ। এ সব হোম সিরিজে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে থাকবে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। আগামী দুই বছরের জন্য বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তারা।
আরো পোষ্ট পেতে, আমাদের #page ঘুরে আসুন। radioclassic.com

একসময়ের আলোচিত রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন কেমন আছেন

বাড়িটির নাম ‘গ্র্যান্ড প্রেসিডেন্ট কনকর্ড’। কিন্তু মানুষের কাছে এটি পরিচিত প্রেসিডেন্ট হাউস হিসেবে। ঢাকার গুলশান-২ নম্বরের ধূসর রঙের এই বাড়িতে থাকেন একসময়ের আলোচিত রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ।
নব্বই-ঊর্ধ্ব বয়সী এই সাবেক প্রধান বিচারপতির শরীর তেমন ভালো নেই এখন। বয়সজনিত নানা রোগে ভুগছেন তিনি। স্বাভাবিক চলাফেরা করতে কষ্ট হয় তার। সাধারণত তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বাসায় আসেন চিকিৎসক। বাসায় তার সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করার জন্য রয়েছেন দুজন সেবিকা।
সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই সাবেক রাষ্ট্রপতির পারিবারিক সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
অনেক দিন থেকেই সাহাবুদ্দীন মিডিয়ায় কথা বলেন না। তার শরীরও ভালো নেই। কথা বলতে কষ্ট হয় তার। বেশির ভাগ সময় ইশারা-ইঙ্গিতে কথা বলেন তিনি।
অভ্যর্থনা কক্ষের একজন কর্মী বলেন, ‘স্যার প্রয়োজন ছাড়া নিচে নামেন না। আমরাই স্যারকে দেখি না অনেক দিন। গত তিন বছরে দুই দিন তাকে নিচে দেখেছি আমরা।’
বাড়িটির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ছোট ছেলে সোহেল আহমেদকে নিয়ে থাকেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। একই তলার অন্য একটি ফ্ল্যাটে থাকেন তার বড় মেয়ের জামাই ও নাতনি। তিন মেয়ে আর দুই ছেলের মধ্যে বড় মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সিতারা পারভীন। ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। মেজো মেয়ে স্থপতি সামিনা পারভীন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। আর ছোট মেয়ে চারুশিল্পী সামিয়া পারভীন থাকেন দুবাই। বড় ছেল পরিবেশ প্রকৌশলী শিবলী আহমেদ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।
বছর দুই আগে সাবেক এই প্রধান বিচারপতির স্ত্রী আনোয়ারা বেগম মারা যান। এরপর ছোট ছেলে, পুত্রবধূ ও এক নাতি আছেন তার সঙ্গে। তার পরিচর্যার জন্য পরিবারের খরচে দুজন সেবিকা নিয়োজিত আছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজনে সিএমএইচের চিকিৎসকরা বাসায় আসেন।
বিদেশে অবস্থানরত সন্তানরা টেলিফোনে নিয়মিত বাবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন বলে জানান রাষ্ট্রপতির পারিবারিক সূত্র।
বাসার ম্যানেজার মতলেব আহমেদ এই প্রতিবেদককে জানান, গত বৃহস্পতিবার বড় মেয়ে আমেরিকা থেকে ফোন করেছেন। স্যারের শরীরের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। বয়স হয়েছে স্যারের। প্রায়ই শরীর খারাপ হয়। আমাদের মধ্যেও এ নিয়ে উদ্বেগ আছে।’
তবে বাসায় নিয়মিত পত্রিকা পড়েন দেশের ‍দুবারের এই রাষ্ট্রপতি। শরীর ভালো থাকলে বাসায় পায়চারিও করেন। আর বই পড়ে সময় পার করেন তিনি।
মূলত পত্রিকা পড়া তিনি বেশি পছন্দ করেন জানিয়ে মতলেব আহমেদ বলেন, বেশির ভাগ সময়ই তিনি ঘরে থাকেন। শারীরিক দুর্বলতার কারণে কোনো সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারেন না, এমনকি কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানে যান না তিনি।
রাষ্ট্রপতির একজন স্বজন জানান, রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে আসার পর থেকেই তিনি কোনো ধরনের অনুষ্ঠানে যান না। নিভৃতে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি। নিজেকে নিয়ে আলোচনা হোক সেটি চান না তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরশাসক এরশাদ পদত্যাগ করলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদ। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা তিন রাজনৈতিক জোট সর্বসম্মতভাবে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মনোনীত করে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীনকে। তার অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করার পর তার শর্ত অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে তাকে প্রধান বিচারপতি পদে ফিরিয়ে নেয়া হয়। এ জন্য সংসদে সর্বসম্মতভাবে সংবিধানের একাদশ সংশোধনী করা হয়।
বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে সাহাবুদ্দীন আহমদকে আবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে। রাজনীতিক না হয়েও বাংলাদেশের রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক ইতিহাসের এক অন্যতম আলোচিত নাম সাহাবুদ্দীন আহমদ।
১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পেমই গ্রামে জন্ম নেন সাহাবুদ্দীন আহমদের। তার বাবা তালুকদার রিসাত আহমেদ একজন সমাজসেবী ও এলাকায় জনহিতৈষী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৫২ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন সাহাবুদ্দীন। ১৯৫৪ সালে তদানীন্তন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের (সিএসপি) প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রথমে লাহোরের সিভিল সার্ভিস একাডেমি এবং পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রশাসনে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন।
সাহাবুদ্দীন আহমদের কর্মজীবনের সূচনা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে। পরবর্তী সময়ে তিনি সহকারী জেলা প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০ সালে প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগে বদলি হন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৭২ সনের ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টের বেঞ্চে তাকে বিচারক হিসেবে উন্নীত করা হয়। ১৯৭৩-১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তিনি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর তাকে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয়।
১৯৮০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান সাহাবুদ্দীন আহমদ। বাংলাদেশের সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী সম্পর্কিত মামলায় তার দেয়া রায় যুগান্তকারী এবং বাংলাদেশের সংবিধানের পরিশোধনের পথ উন্মুক্ত করে দেয়।
আরো পোষ্ট পেতে, আমাদের #page ঘুরে আসুন। radioclassic.com

জাপানের ৪৩ ভাগ মানুষ সেক্স করে না

জনসংখ্যা সমস্যায় যেন হিমশিম খাচ্ছে জাপান৷ একদিকে বয়স্ক মানুষর সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে কমে যাচ্ছে জন্মহার৷ তার ওপর একক বা ‘সিঙ্গেল’ নর-নারীর সংখ্যা এখন ৬০ শতাংশেরও বেশি৷ আবার তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই নাকি ‘ভার্জিন’৷
‘সা-রে-গা-মা-পা-ধা-নি, বোম ফেলেছে জাপানি৷’ না, ইতিহাসের সেই দিনটি আর ফিরে আসেনি ঠিকই, কিন্তু বোমা একটা পড়েছে, সমীক্ষার বোমা৷ আর সেটা পড়েছে জাপানের মাটিতেই৷ সম্প্রতি স্থানীয় জনসংখ্যা ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক সমীক্ষার ফলাফল দেখে ভাঁজ পড়েছে জাপানের কর্তাব্যক্তিদের কপালে৷
সমীক্ষা বলছে, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সি ৭০ শতাংশ অবিবাহিত পুরুষ এবং ৬০ শতাংশ অবিবাহিত নারীর জীবনে কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই৷ শুধু তাই নয়, এদের মধ্যে ৪২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ নারী স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, তারা এখনও কুমার অথবা কুমারী৷ অর্থাৎ জাপানের গড়ে ৪৩ ভাগ মানুষের যৌনমিলন বা সেক্সের কোনো অভিজ্ঞতাই নেই, বা তারা কোন সময় যৌনমিলন বা সেক্স করে নাই৷
গবেষণা ইনস্টিটিউটটি প্রতি পাঁচবছর অন্তর এ ধরনের একটা সমীক্ষা চালায়, জানাচ্ছে ‘জাপান টাইমস’৷ ১৯৮৭ সালে একই বয়সের নারী-পুরুষের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা গিয়েছিল ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ নারীই অবিবাহিত৷ আর ২০১০ সালের ফলাফলে দেখা যায়, ৩৬ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ নারী ‘ভার্জিন’ বা তাদের কোনো শারীরিক সম্পর্ক নেই৷
প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে অবশ্য দাবি করেছেন যে, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের প্রজননের হার ১ দশমিক ৮ শতাংশে নিয়ে যাবে জাপান৷ উদ্যোগ হিসেবে বিবাহিতদের জন্য ‘চাইল্ড কেয়ার সার্ভিস’ ও ‘ট্যাক্স ইনসেন্টিভ’-এরও ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু সমীক্ষা বলছে, সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও জাপানিরা প্রণয় বা পরিণয়ে আগ্রহী নন৷
এবারের গবেষণায় অংশ নেওয়া নারী-পুরুষরা জানান, তারা কিছুক্ষেত্রে বিয়ে করতে চান৷ কিন্তু কী সেসব ‘ক্ষেত্র’, তা স্পষ্ট করে বলেননি তারা৷ গবেষণা দলের প্রধান ফুতোসি ইশির কথায়, দেশের বহু মানুষ জীবনের একটা পর্যায়ে গিয়ে বিয়ে করতে চান৷ কিন্তু নিজ নিজ স্বপ্ন ও বাস্তবতার মধ্যে ফারাক দেখে আবারো মুখ ঘুরিয়ে নেন৷ বলা বাহুল্য, এই ফারাকটা অর্থনৈতিক সাচ্ছন্দ ও জীবনযাপনকে ঘিরে, যার জন্য শেষ পর্যন্ত একাই থেকে যান জাপানিরা৷
আরো পোষ্ট পেতে, আমাদের #page ঘুরে আসুন। radioclassic.com

হাজার হাজার মানুষ বিয়ে করতে যায় যে দ্বীপে

প্রতি বছর মধ্যপ্রাচ্য থেকে তিন হাজারের মতো দম্পতি সাইপ্রাসে যায় বিয়ে করার লক্ষ্যে। ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা বাদে নাগরিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কেউ যদি সহজে বিয়ে করতে চান, বলা হয় তার জন্যে এটাই সবচে উৎকৃষ্ট জায়গা।
এরকম একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বিবিসির সংবাদদাতা ইউল্যান্ডে ক্নেল। তিনি বর্ণনা করছিলেন ওই বিয়ের দৃশ্য। বলছিলেন, তরুণ এক দম্পতি যখন পরস্পরের হাত ধরে লার্নাকায় বিয়ের একটি হলের ভেতরে হেঁটে যাচ্ছিলো তখন ছোট্ট এক স্পিকারে ভেসে আসছিলো প্রেমের সঙ্গীত।
তারা হলেন র‍্যাচেল ও আব্দুল কাদের (উপরে তাদের ছবি দেওয়া হয়েছে)। তারা লেবাননের নাগরিক কিন্তু বিয়ে করার জন্যে তাদেরকে বিদেশে আসতে হয়েছে।
তাদের পরনে সনাতন বিয়ের পোশাক ছিলো না, ছিলো টি-শার্ট আর জিন্স। নিজেদের আরবি ভাষায় কথা না বলে বলছিলো ইংরেজিতে।
রেজিস্টার যখন তাদেরকে স্বামী স্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন তখন সেখানে একমাত্র উপস্থিত বিবিসির সংবাদদাতাই তাদেরকে মোবারকবাদ বা শুভেচ্ছা জানান। তারপর তারা লজ্জা মাখানো মুখে একজন আরেকজনকে চুম্বন করেন।
লেবাননে এরকম প্রেম কাহিনি প্রচুর। সেদেশে ধর্মীয়ভাবেই আছে ১৮টি গোষ্ঠী। র‍্যাচেল একজন ম্যারোনাইট ক্রিশ্চিয়ান আর আব্দুল কাদের সুন্নি মুসলিম।
দু’জনের কেউই তাদের পিতামাতার ধর্ম ছাড়তে চান না আবার তারা বিয়েও করতে চান ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই।
“আমি ঈশ্বরের নাম নিয়েই বিয়ে করতে চাই। কিন্তু আমাদের সামনে আর কোনো উপায় ছিলো না,” বললেন র‍্যাচেল। তিনি বলেন, “লেবাননে সিভিল ম্যারেজের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আমাদেরকে এখানে আসতে হয়েছে।”
প্রচুর সংখ্যায় বিদেশি সাইপ্রাসে আসেন শুধু বিয়ে করার জন্যে। শুধু মধ্যপ্রাচ্য থেকেই বছরে তিন হাজারের মতো। তাদের বেশিরভাগই লেবানন ও ইসরায়েলের নাগরিক। তারা মনে করেন এখানে বিয়ে করা অনেক সহজ ও সস্তা। এবং সবচে বড়ো কথা এই বিয়ে নিজেদের দেশে আইনিভাবেও বৈধ। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট।
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সিভিল ম্যারেজকে বৈধ করার জন্যে চেষ্টা চালানো হয়েছিলো কিন্তু ধর্মীয় নেতারা তাদের রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে সেগুলো নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
কোনো কোনো দেশে মুসলিম অথবা শরিয়া আইনে বিয়ে হয়। অন্যান্যদের জন্যে আছে অটোমানের সময় বেঁধে দেওয়া নিয়ম কানুন। এর ফলে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠী তাদের নিজেদের মতো করে আদালত চালাতে ও পারিবারিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারেন।
ফলে ইমাম, যাজক ও র‍্যাবাইরা বিয়ে ও বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। তাদের মতে সৃষ্টিকর্তাই এসব নিয়ন্ত্রণ করেন।
ইসরায়েলি এক দম্পতি সাইপ্রাসে এসেছিলো বিয়ে করতে। কারণ তারা সেক্যুলার এবং সিভিল ম্যারেজকেই তারা অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
“ইসরায়েলে শুধু ধর্মীয়ভাবেই বিয়ে হতে পারে। যারা এভাবে বিয়ে করতে চান না তাদের সেখানে বিয়ে করার উপায় নেই,” বলছিলেন বর রাজ।
নববিবাহিত এই দম্পতি এখন আশা করছেন যে ইসরায়েলে বিবাহ সংক্রান্ত আইনের পরিবর্তন ঘটবে। না হলে এই দম্পতিরা বলছেন, তাদের সন্তান সন্ততিকেও হয়তো শুধু বিয়ে করার জন্যে বিদেশে চলে যেতে হবে।
তবে এ ফলে যে সাইপ্রাস অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। একই সাথে এই দেশটি পরিচিত হয়ে উঠছে ‘প্রেমের এক দ্বীপ’ হিসেবে।
আরো পোষ্ট পেতে, আমাদের #page ঘুরে আসুন। radioclassic.com

ভুমিকম্পের সময় যে দোয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বেশী বেশী পড়তে বলেছেন !! জেনে রাখুন।কাজে আসবে শেয়ার করে পোস্টটি আপনার প্রোফাইল এ রেখে দিন।

ভুমিকম্পের থেকে রক্ষা পেতে একটি দোয়া পড়তে পারেন বেশি করে।
এছাড়া মৌলিক ফরজ ইবাদত ঠিক রাখতে হবে। দোয়াটি হচ্ছেঃ
**বিসমিল্লাহিল লাজি লা ইয়াদূর’রু মা’আস মিহি শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামি’ই ওয়াহুয়া সামি’য়ুল আলিম….
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই দুয়া তিনবার পড়বে,সে ভূমি ও আকাশের দুর্যোগ থেকে হেফাজতে থাকবে।
আরেকটা আছে।
মোটামটি সোজা।
**লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতুম মিনাজ জোয়ালিমিন…..
রাত্রে ঘুমানোর আগে একবার আয়াতুল কুরসি পড়ে নিতে পারেন।
এই আয়াতের ফযীলত আল্লাহর কাছে সব চেয়ে বেশি।
যে এই আয়াত পড়ে ঘুমোতে যায়, ঘুমন্ত অবস্থায় আল্লাহ্‌ তাকে,তার পরিবারকে ও তার প্রতিবেশীকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করেন।

আরো পোষ্ট পেতে, আমাদের #page ঘুরে আসুন। radioclassic.com

যে জঘণ্য কাজটি করলে আপনার ঘরে হতে পারে হিজড়া সন্তান.কাজে আসবে শেয়ার করে পোস্টটি আপনার প্রোফাইল এ রেখে দিন।

যে জঘণ্য কাজটি করলে আপনার ঘরে হতে পারে হিজড়া সন্তান
হিজড়া জন্ম হওয়ার কারণ :
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ হিজড়ারা জীনদের সন্তান। কোন এক বাক্তি আব্বাস (রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলেন এটা কেমন করে হতে পারে। জবাবে তিনি বলেছিলেন “আল্লাহ্ ও রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন যে মানুষ যেন তার স্ত্রীর মাসিক স্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে”, সুতরাং কোন মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব হলে শয়তান তার আগে থাকে এবং সেই শয়তান দারা ঐ মহিলা গর্ববতী হয় ও হিজড়া সন্তান প্রসব করে। (মানুষ ও জীন এর যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলাম এ বলা হয় “খুন্নাস”)।
প্রমানসুত্রঃ সূরা বানী ইস্রাইল- আর রাহমান -৫৪, ইবনে আবি হাতিম, হাকিম তিরমিজি।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায়ঃ দেখা যায় XX প্যাটার্ন ডিম্বানুর সমন্বয়ে কন্যা শিশু আর XY প্যাটার্ন থেকে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। ভ্রুনের পূর্ণতার স্তরগুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্ব কোষ জন্ম নেয়।
অন্ডকোষ থেকে নিসৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন এবং ডিম্ব কোষ থেকে নিসৃত হয় এস্ট্রোজেন। এক্ষেত্রে ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হয় যেমন XXY অথবা XYY। এর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়।
একটা ব্যাপার হল, একটি হিজড়া শিশুকে পরিণত বয়সে যাওয়ার আগে যদি যথযথ মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করা হয় তাহলে বেশীভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব।
কিন্তু যখন বোঝা যায় সে সাধারণ আর দশজনের থেকে আলাদা তখন আসলে অনেক দেরী হয়ে যায়। একইভাবে কোন পুরুষ বা নারীও হিজড়া হতে পারেন।

আরো পোষ্ট পেতে, আমাদের #page ঘুরে আসুন। radioclassic.com

ফরজ গোসল করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন.কাজে আসবে শেয়ার করে পোস্টটি আপনার প্রোফাইল এ রেখে দিন।

ফরজ গোসল করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন.
ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম না জানার কারণে অসংখ্য মুসলিম ভাই- বোনের সালাত সহ নানা আমল কবুল হয় না। যেটা ঈমানের ক্ষেত্রে চরম ভয়ানক ব্যাপার।
যেসব কারণে গোসল ফরজ হয়ঃ
১. স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হলে।
২. নারী-পুরুষ মিলনে (সহবাসে বীর্যপাত হোক আর নাই হোক)।
৩. মেয়েদের হায়েয-নিফাস শেষ হলে।
৪. ইসলাম গ্রহন করলে(নব-মুসলিম হলে)।
ফরজ গোসলের ফরজ সমূহ হলো-
গোসলের ফরজ মোট তিনটি। এই তিনটির কোনো একটি বাদ পরলে ফরজ গোসল আদায় হবে না। তাই ফরজ গোসলের সময় এই তিনটি কাজ খুব সর্তকতার সাথে আদায় করা উচিত।
১. গড়গড়া কুলি করা।
২. নাকে পানি দেওয়া।
৩. এরপর সারা দেহে পানি ঢালা ও ভালোভাবে গোসল করা।
ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মঃ
১. গোসলের জন্য মনে মনে নিয়্যাত করতে হবে। বাড়তি মুখে কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করে নিয়্যাত করা বিদ’আত।
২. প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুতে হবে।
৩. এরপর ডানহাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধুতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুতে হবে।
৪. এবার বামহাতকে ভালো করে ধুইয়ে পেলতে হবে।
৫. এবার ওজুর নিয়মের মত করে ওজু করতে হবে তবে দুই পা ধুয়া যাবে না।
৬. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।
৭. এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ধুতে হবে।
৮. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ধুতে হবে।
অবশ্যই মনে রাখতে হবেঃ
১. পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।
২. এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু না ভাঙ্গে।
(আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে কুর’আন ও সহিহ সুন্নাহ মেনে চলার তাওফিক দান করুন এবং পূর্বের না জেনে করা ভুল ক্ষমা করুন। আমিন।)
কাজে আসবে #share করে টাইম লাইনে #save করে রাখুন।
আরো পোষ্ট পেতে, আমাদের #page ঘুরে আসুন। radioclassic.com

মেয়েদের কপালে টিপ দেয়া : কী বলে ইসলাম.শেয়ার করে পোস্টটি আপনার প্রোফাইল এ রেখে দিন.

মেয়েদের কপালে টিপ দেয়া : কী বলে ইসলাম.
বিধর্মীদের অনুসরণের নিয়ত না থাকলে, শুধুমাত্র স্বামীকে খুশি করার উদ্দেশ্যে কপালে টিপ দিলে সেটা কি বৈধ হবে?
কপালে টিপ দেয়া শুধু বিধর্মীদের প্রথাই নয়, বরং কারো কারো ধর্মীয় প্রতীক।
আর বিধর্মীদের প্রথা পালন করা হচ্ছে না জায়েয।
সুতরাং তা পরিত্যাজ্য হিসাবে বিবেচিত হবে।
কেননা বান্দাকে খুশি করার জন্য আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের হুকুম কখনই জায়েয হতে পারে না
    আরো পোষ্ট পড়তে আমাদের page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন radioclassic.com
    ***********************************************

ইসলামের দৃষ্টিতে মেয়েদের সাথে আচরণ.শেয়ার করে পোস্টটি আপনার প্রোফাইল এ রেখে দিন.

ইসলামের দৃষ্টিতে মেয়েদের সাথে আচরণ
মেয়েদের সাথে কি আচারণ করতে হবে তাহা ইসলাম কিন্তু সুন্দর ভাবে বলেছেন, এই ভাবে আমাদের মুসলিম মা বোন স্ত্রীদের কে সে ভাবে পরিচালিত করা হতো তা হলে আজ এতোটা বেপরোয়া হতনা সমাজ।
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ
“আমার কাছ থেকে মেয়েদের সাথে সৎ ব্যবহার করার শিক্ষা গ্রহণ কর। কেননা নারী জাতিকে পাজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। পাজরের হাড়গুলোর মধ্যে ওপরের হাড়টা সর্বাপেক্ষা বাঁকা। অতএব তুমি যদি সোজা করতে যাও, তবে ভেঙ্গে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যদি ফেলে রাখ তবে বাঁকা হতেই থাকবে। অতএব, নারীদের সাথে ভালো ব্যবহার কর।” [বুখারী ও মুসলিম]
*রিয়াদুস সালেহীন – ২৭৩
    ***********************************************
    আরো পোষ্ট পড়তে আমাদের page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন radioclassic.com

নিজের হাতে বানানো টকদই- আসুন আজই হয়ে যাক।শেয়ার করে পোস্টটি আপনার প্রোফাইল এ রেখে দিন.

আমি বরাবরই ভোজন রসিক সেটা এ ব্লগের অনেকেই জানেন। সেসব নিয়েও আছে অনেক অনেক গল্প। যাক সে কথা। আজকে ঘরে বানানো টকদই এর রেসিপি দিবো। যা এই রোজার দিনে ইফতারের পরে ভালো পুষ্টির যোগান দিবে। খুব অল্প খরচে, অল্প সময়ে বাসায় এই ট্কদই বানাতে পারেন। 

উপকরণ : 
দুধ ২ লিটার (আমরা দুই লিটারকে ষ্ট্যান্ডার্ড ধরে নিলাম), পানি ২ কাপ, 
দইয়ের বীজ (আগের দই) ১.৫ টেবিল চামচ, মাটির বড় হাঁড়ি ১টি। 

প্রণালী: 
১। ২ লিটার দুধে ২ কাপ পানি মিশিয়ে প্রায় সাত/আট মিনিট চুলায় গরম করতে হবে। 
২। যখন একটু বলক উঠবে তখন চুলার জ্বাল কমিয়ে দিতে হবে। 
৩। এরপর এই অল্প জ্বালে প্রায় ২০ মিনিট রাখতে হবে। (পাতিলের নিচে দুধ যাতে না ধরে যায় এজন্য মাঝে মাঝে চামচ দিয়ে নাড়তে হবে) 
৪। মিশ্রণটি যখন একটু ঘন হয়ে আসবে তখন মাটির ঐ হাঁড়িতে ঢালতে হবে। 
৫। এরপর দইএর বীজ আধাকাপ পানিতে গুলিয়ে মাটির হাঁড়িতে রাখা দুধের মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। 
৬। এরপর হাঁড়িটি ঢেকে রাখতে হবে। ঠান্ডা হলে ফ্রিজিং করা যেতে পারে। 

দই এর বীজ কিভাবে বানাবেন? 
১ম পদ্ধতি: আগের যেকোন দই থেকে অল্প কিছু দই পরের দই এর বীজ হিসেবে ব্যাবহার করা যায়। 
২য় পদ্ধতি: এককাপ দুধের মাঝে ৩/৪ চামচ ভিনেগার দিলে সেটা জমে দই এর বীজ হবে। 
৩য় পদ্ধতি: এককাপ দুধের মাঝে দশ বারো ফোঁটা লেবুর রস দিলেও সেটা দই এর বীজ হিসেবে। 

দই এর পরিচয় এবং সংক্ষিপ্ত ইতিহাস: 
দই হল এক ধরনের দুগ্ধজাত খাদ্য যা দুধের ব্যাক্টেরিয় গাঁজন হতে প্রস্তুত করা হয়। ল্যাক্টোজের গাঁজনের মাধ্যমে ল্যাক্টিক এসিড তৈরি করা হয়, যা দুধের প্রোটিনের ওপর কাজ করে দইয়ের স্বাদ ও এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গন্ধ প্রদান করে। মানুষ ৪৫০০ বছর ধরে দই প্রস্তুত করছে এবং তা খেয়ে আসছে। সারা পৃথিবীতেই এটি পরিচিত। পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে এর সুনাম আছে। দই প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন বি১২ এ অত্যন্ত সমৃদ্ধ। 

টক দই এর ১০টি উপকারীতা: 
১। টক দই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ঠান্ডা লাগা , সর্দি ও জ্বর না হওয়ার জন্য এটি ভালো কাজ করে। 
২। টক দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়ায় বা ঠিক রাখে। 
৩। টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া হজমে সহায়ক তাই এটি পাকস্থলীর জ্বালাপোড়া কমাতে বা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। 
টক দই হাড় ও দাঁতের গঠনে ও মজবুত করতে সাহায্য করে । 
৪। কম ফ্যাট যুক্ত টক দই রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল কমায়। 
৫। টক দইয়ের আমিষ দুধের চেয়ে সহজে হজম হয়, এটি দুধের চেয়ে অনেক কম সময়ে হজম হয়। তাই যাদের দুধের হজমে সমস্যা তারা দুধের পরিবর্তে এটি খেতে পারেন। 
৬। টক দই রক্ত শোধন করে। উচ্চ রক্ত চাপের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। 
৭। ডায়বেটিস, হার্টের অসুখ এর রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে এসব অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। নিয়মিত টক দই খেলে তা অন্য খাবার থেকে পুষ্টি নিয়ে শরীরকে সরবরাহ করে । 
৮। টক দইয়ে আমিষ থাকে, যেহেতু আমিষ হজম হতে সময় লাগে, তাই পেট ভরা বোধ হয় ও শক্তি পাওয়া যায় | অতিরিক্ত খাবারও খেতে ইচ্ছা করে না। 
৯। দই এর পুষ্টি উপাদানগুলো হজমের সময় তাড়াতাড়ি শরীরে শোষিত হয়ে দ্রুত শরীরকে শক্তি দেয়। 
১০। টক দই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে | তাই গ্রীষ্মকালে টক দই খেলে ভালো। 
    আরো পোষ্ট পড়তে আমাদের page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন radioclassic.com
    ***********************************************

চুলের যত্নে দইয়ের কোন তুলনা হয়না।শেয়ার করে পোস্টটি আপনার প্রোফাইল এ রেখে দিন.

চুলের যত্নে দইয়ের কোন তুলনা হয়না।
দই এমন একটি উপাদান যা আপনার চুলের চেহারা বদলে দেবে। 
যাদের চুল রুক্ষ আর শুষ্ক তারা চুলে দইয়ের ম্যাসাজ নিয়ে দেখতে পারেন। 
ভালো ফল পাবেন আশা করি। এক্ষেত্রে টক দই সব থেকে ভালো কাজ করে। 
প্রণালী: 
২ থেকে ৩ কাপ টক দই অথবা এমনি দই চুলে ম্যাসাজ করুন, ২০ মিনিট রেখে দিন। 
এরপর হালকা উষ্ণ পানিতে চুল ধুয়ে নিন। 
স্বাভাবিক যেমন করে শ্যাম্পু করেন সেভাবে চুলে শ্যাম্পু করুন। 
প্রতি সপ্তাহে একবার করে এভাবে ব্যবহার করুন আপনার চুল হয়ে যাবে নজরকাড়া সুন্দর।
    আরো পোষ্ট পড়তে আমাদের page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন radioclassic.com
    ***********************************************

Monday, September 12, 2016

পেঁপের পাঁচটি কার্যকরী প্যাক.কাজে আসবে share করে টাইম লাইনে save করে রাখুন।

পেঁপের পাঁচটি কার্যকরী প্যাক
প্রচুর পরিমাণে মিনারেলস ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস থাকার কারণে পাকা পেঁপে ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। প্রাকৃতিক এই উপাদানটি ত্বক উজ্জ্বল করে, বলিরেখা দূর করে, ত্বক টানটান করে, চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখে ও ত্বক মসৃণ করে। বিভিন্ন উপায়ে ত্বকে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
পেঁপে ও মধুর ফেস প্যাক
দুই টুকরো পাঁকা পেঁপে চটকে নিয়ে এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মেশান। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন এই প্যাক ব্যবহার করলে কালচে ভাব দূর হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
পেঁপে ও টক দইয়ের প্যাক
দুই টেবিল চামচ চটকানো পাকা পেঁপের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা গোলাপজল দিয়ে নিন। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। এবার পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ভালো করে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এই প্যাক ত্বককে টানটান করে।
পেঁপে ও লেবুর রসের প্যাক
দুই টেবিল চামচ চটকানো পেঁপের সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এই প্যাক ত্বককে দাগমুক্ত ও মসৃণ করে।
পেঁপে ও মুলতানি মাটির প্যাক
এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে দুই টেবিল চামচ চটকানো পাকা পেঁপে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক ত্বকের বলিরেখা দূর করে চেহারার বয়সের ছাপ কমায়।
পেঁপের রস ও চালের গুঁড়োর প্যাক
দুই টেবিল চামচ পেঁপের রসের সঙ্গে এক চা চামচ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট ঘষুন। এবার পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের মরা কোষ দূর করে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে।
কাজে আসবে #share করে টাইম লাইনে #save করে রাখুন।
আরো পোষ্ট পেতে, আমাদের #page ঘুরে আসুন। radioclassic.com

পেয়াজের উপকারিতা, ১৪টি অন্যরকম গুনাগুন.কাজে আসবে share করে টাইম লাইনে save করে রাখুন।

ফিচার ডেস্ক: রান্না ছাড়াও পেয়াজ দিয়ে আপনি আরো চমকপ্রদ সুবিধা পেতে পারেন। জেনে নিন পেঁয়াজ দিয়ে আরো কী কী করা যায়।
আগুনে পুড়ে গেলে…
দুর্ঘটনাবশত বা অসাবধানতায় হাত বা শরীরের অন্য কোনো অংশ আগুনে দগ্ধ হলে পেঁয়াজের সম্মুখটা কেটে নিয়ে, দগ্ধ অংশে পেয়াঁজ ঘষুন। এতে শুধু যে ব্যথা কমবে তাই নয়, পাশাপাশি দাগ প্রতিরোধ এবং রোগ সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে।
ডেটক্স…
পেঁয়াজ ব্যাকটেরিয়া শোষণ করতে পারে। তাই যেকোনো স্থানে পেঁয়াজ স্লাইস করে কেটে ছড়িয়ে রাখলে তা রোগ সংক্রমণ এবং হাঁচি-কাশির মতো বায়ুবাহিত রোধ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
পোকামাকড়ের কামড় দিলে…
শরীরে পোকামাকড়ের কামড়ের আক্রান্ত স্থানে পেঁয়াজ ঘষুন। কারণ পোকামাকড়ের বিষ থেকে সৃষ্ট ব্যথা ও ফোলা কমাতে বেশ কার্যকরী পেঁয়াজ।
কানে ব্যথা বা কান কটকট করলে…
শুধু শরীরের পোড়া স্থানে এবং পোকামাকড়ের কামড়ের স্থানেই নয়, বরঞ্চ কর্ণশূল নিরাময়েও পেঁয়াজ দারুণ কাজ করে। কান কটকট বা কানের ব্যথার ক্ষেত্রে, পেঁয়াজের একটা ছোট টুকরো কানের মধ্যে রাখুন, এতে আপনার কানের মধ্যে থাকা মোম গলে যাবে এবং ব্যথা কমাবে।
জ্বরের ক্ষেত্রে…
শরীরে যদি জ্বর জ্বর ভাব অনুভব করেন, তাহলে ঘুমানোর সময় পায়ে মোজা পরে মোজার মধ্যে পেঁয়াজের স্লাইস করে কাটা টুকরো রেখে দিন। বিস্ময়করভাবে এতে জ্বর কমে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
গলাব্যথার ক্ষেত্রে….
পেঁয়াজের খোসা গরম পানিতে সেদ্ধ করে, সেই পানি খেলে গলাব্যথা কমতে পারে। যখনই আপনি গলাব্যথায় ভুগছেন, তখনই এই পেঁয়াজ চা খেতে পারেন।
শলা, কাঁটা বা অন্যকিছু বিদ্ধ হলে…
অসাবধানতায় হাতের আঙুলে বা পায়ের পাতায় কোনো শলা বা কাঁটা অন্যকিছু বিদ্ধ হলে, তা অনেক সময় বের করাটা খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। সে ক্ষেত্রে অর্ধেক কাটা পেঁয়াজ, ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে ওই স্থানে ঘণ্টাখানেক রেখে দিলে, বিদ্ধ জিনিসটি বের করাটা সহজ হয়।
ত্বকে কালো দাগ দূর করতে….
হলুদের সঙ্গে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে ত্বকে লাগালে, তা ত্বকের কালো দাগ দূর করে এবং ত্বকের স্বাভাবিক রং বজায় রাখতে সাহায্য করে।
অনিয়মিত মাসিক হলে….
পেঁয়াজ ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। এমনকি মাসিকের বাধাও দূর করে। মাসিক চক্র শুরু হওয়ার আগে কিছুদিন কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে দেখুন, আপনি একমত হবেন।
আক্কেল দাঁত ব্যথার ক্ষেত্রে…
আক্কেল দাঁত ব্যথা কমাতে পেঁয়াজের টুকরা খেয়ে দেখতে পারেন বা ব্যথার স্থানে পেঁয়াজের ফালি রেখে দিতে পারেন। এ ছাড়া পেঁয়াজের রস আক্রান্ত স্থানে মালিশ করেও দেখতে পারেন। ব্যথা কমে যাবে।
কৃমি সমস্যায়…
কৃমির সঙ্গে যুদ্ধ করতে পেঁয়াজের রস উপকারী। কৃমির সমস্যা থাকলে পেঁয়াজের রস খেতে পারেন।
চুল ঝরা কমাতে…
পেঁয়াজের মধ্যে থাকা সালফার শুধু মাথার ত্বকে রক্ত সংবহনই উন্নত করে তা নয়, এর পাশাপাশি চুলে যথেষ্ট পুষ্টিও জোগায়। চুলকে শক্তিশালী করে চুল ঝরা রোধ করে। পেঁয়াজের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ মাথার খুলিতে রোগ সংক্রমণও প্রতিরোধ করে।
আঁচিল দূর করতে..
শুধু পেঁয়াজের একটি টুকরা দিয়ে ব্যান্ডেজ বাঁধুন। আঁচিলের স্থানে কয়েক দিনের মধ্যে উন্নতি দেখতে পাবেন। প্রতিদিন ব্যান্ডেজ পাল্টাতে ভুলবেন না।
বমি কমাতে….
বমি বমি ভাব বোধ হলে বা বারবার বমি হলে, দুই চামচ পেঁয়াজের রস এবং এরপর এক কাপ মেনথল চা খান। বমি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এর পুনরাবৃত্তি করতে পারেন।
কাজে আসবে #share করে টাইম লাইনে #save করে রাখুন।
আরো পোষ্ট পেতে, আমাদের #page ঘুরে আসুন। radioclassic.com

Sunday, September 11, 2016

আদার চা পানের আটটি সুফল.কাজে আসবে share করে টাইম লাইনে save করে রাখুন।

আদার চা পানের আটটি সুফল
বাঙালির প্রাত্যহিক জীবনে আদা একটি অন্যতম অপরিহার্য উপাদান। প্রায় সব রান্নাতেই আমরা কম-বেশি আদা ব্যবহার করি। আর সাধারণ সর্দি-কাশি, ঠান্ডায় ঘরোয়া চিকিত্সা হিসেবে আদার ব্যবহার সুপ্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে।
আদার রস মিশ্রিত রং চা আমরা অনেকেই পান করি। কিন্তু এর গুণাগুণ জানি কজনে? গতকাল শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে আদার চা পানের আটটি সুফল উল্লেখ করা হয়েছে।
বিতৃষ্ণা ও বমি ভাব দূর করে
কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে এ কাপ আদা চা পান করে নিতে পারেন। এতে করে যাত্রার গতির ফলে শরীরে যে বিবমিষা ও বমি বমি ভাব তৈরি হয়, তা দূর হবে।
পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বাড়ায়
আদা চা খাবার হজম করে পাকস্থলীর পরিপাক-প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলেছেন? চিন্তা নেই। চটপট এক কাপ আদা চা পান করুন। স্বস্তি পাবেন।
শরীরের প্রদাহ কমায়
আদাতে ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়ামসহ মানবদেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো খনিজ উপাদান উচ্চমাত্রায় রয়েছে। এগুলো একই সঙ্গে ব্যথানাশক হিসেবেও কাজ করে। তাই পেশি ও জয়েন্টের ব্যথা কমানোর জন্য এটি একটি উত্কৃষ্ট ঘরোয়া উপাদান। আদার চা পানের পাশাপাশি ব্যথা কমাতে এটি জয়েন্টে লাগাতেও পারেন।
শ্বাসতন্ত্রের রোগ মোকাবিলা করে
সাধারণ ঠান্ডা, সর্দি-কাশি নিরাময়ে আদা যে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে তা কম বেশি সবারই জানা। অ্যালার্জিজনিত কারণে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা বোধ করলে, আদার চা পানে সুফল পেতে পারেন।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
আদাতে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। এটি রক্ত সঞ্চালন-প্রক্রিয়া উন্নত করে হূত্যন্ত্রকে সুস্থ রাখে। পাশাপাশি আদার রস ধমনিতে চর্বি জমতে বাধা দেয়। ফলে প্রতিদিন আদা চা পান করলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমবে।
ঋতুচক্রের ফলে সৃষ্ট প্রদাহ লাঘব করে
যেসব নারী ঋতুচক্রের সময় শারীরিক যন্ত্রণায় ভোগেন, আদা তাঁদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। আদা মিশ্রিত গরম চায়ে তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। এরপর তলপেটে সেঁকা দিন। এটি আপনার ব্যথা কমাবে এবং আপনার মাংসপেশিকে আরাম দেবে। এর পাশাপাশি মধু মিশিয়ে এক কাপ আদা চা পান করলে আরও ভালো ফল পাবেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আদাতে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ কমায়
আদার তীব্র নির্যাস মানসিক চাপ ও উত্তেজনা হ্রাস করতে সহায়তা করে।
আরো পোষ্ট পেতে, আমাদের #page ঘুরে আসুন। radioclassic.com

রোদে না দিয়েই মাত্র ৩টি সহজ ধাপে তৈরি করে ফেলুন অসাধারণ “আমসত্ত্ব”.কাজে আসবে share করে টাইম লাইনে save করে রাখুন।

রোদে না দিয়েই মাত্র ৩টি সহজ ধাপে তৈরি করে ফেলুন অসাধারণ “আমসত্ত্ব”!
===================================================
আমসত্ত্ব খেতে চাইলে পাকা আম আঁটি ফেলে চটকে নেবেন। আর টক মিষ্টি খেতে চাইলে কাঁচা ও পাকা আম মিলিয়ে নেবেন। সেক্ষেত্রে কাঁচা আম সিদ্ধ করে আঁটি ফেলে চটকে নিতে হবে)
২) চিনি (যতখানি আম তার সম পরিমাণ চিনি। এক কাপ আম হলে ১ কাপ চিনি। তবে নিজের স্বাদ অনুযায়ী দেয়া যাবে)
৩) সরিষার তেল প্রয়োজনমত
প্রণালি
-----------------
আম চটকে নিন ভালো মত। তারপর ব্লেন্ডারে দিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করে নিন কোন পানি ছাড়া। আমে আঁশ থাকলে চালনি দিয়ে চেলে নেবেন।
এবার একটি ভারি তলার কড়াইতে এই আম ও চিনি দিয়ে জ্বাল দিন। ঘন ঘন নাড়তে থাকুন। আম থকথকে হালুয়ার মত হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
এবার একটি বাঁশের কুলা বা ডালায় সরিষার তেল মাখিয়ে নিন। তার ওপরে এই জ্বাল দেয়া থকথকে আম হাত দিয়ে লেপে দিন। তারপর এই কুলা বা ডালাকে রেখে দিন চুলার নিচে! আপনি চাইলে রোদে দিতে পারেন, তবে যাদের বাসায় রোদের দেয়া সমস্যা তারা চুলার নিচে রেখে দিলেও চমৎকার আমসত্ত্ব হবে। চাইলে ওভেনেও বেক করতে পারেন। ১৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বেক করতে পারেন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত।
আপনি চাইলে একটি লেয়ার শুকিয়ে গেলে ওপরে আরও একটি লেয়ার দিতে পারেন। এভাবে কয়েকটি করে নেয়ার দিলেও ভারতীয় আমসত্ত্ব গুলোর মত চমৎকার লেয়ার হবে। প্রত্যেকটি লেয়ার দেয়ার পরই ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে।
শুকিয়ে গেলে তুলে ফ্রিজে বা এয়ার টাইট কৌটায় ভরে সংরক্ষণ করুন।
আরো পোষ্ট পেতে, আমাদের #page ঘুরে আসুন। radioclassic.com

ধনেপাতা ব্যবহারে আপনি যে রোগে ভুগছেন.কাজে আসবে share করে টাইমলাইনে save করে রাখুন।

নিত্যদিনের বিভিন্ন খাবারে আমরা ধনেপাতা ব্যবহার করে থাকি খাবারের গন্ধ এবং স্বাদে একটা পরিবর্তন আনার জন্য। ধনেপাতার বৈজ্ঞানিক নাম হল কোরিয়ানড্রাম স্যাটিভাম। কিন্তু কখনও কি কল্পনা করেছেন যে এই সুস্বাদু খাবারটির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে? অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি কথা হলো এই সুপরিচিত খাবারটির অনেক ঔষধি গুণাগুণের পাশাপাশি অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও বিদ্যমান যা আমাদের শরীরকে দিনদিন অসুস্থ করে তুলছে।
১. লিভারের ক্ষতিসাধন :
অতিরিক্ত ধনেপাতা খেলে এটি লিভারের কার্যক্ষমতাকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে থাকে। এতে থাকা এক ধরনের উদ্ভিজ তেল শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে ফেলে। এছাড়া এটাতে এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যেটা সাধারণত লিভারের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে কিন্তু দেহের মাঝে এর অতিরিক্ত মাত্রার উপস্থিতি লিভারের ক্ষতিসাধন করে।
২. নিম্ন রক্তচাপ :
অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়ার ফলে দেহের হৃৎপিন্ডের স্বাস্থ্য নষ্ট করে ফেলে, যার ফলে নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞরা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই ধনেপাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে নিম্ন রক্তচাপের উদ্ভব ঘটতে পারে। এছাড়া এটি হালকা মাথাব্যথারও উদ্রেক করতে পারে।
৩. পেট খারাপ :
স্বাভাবিকভাবে ধনেপাতা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল বিষয়ক সমস্যা দূর করে থাকে কিন্তু বেশি পরিমাণে ধনেপাতা সেবন পাকস্থলীতে হজমক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি করে থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে এক সপ্তাহে ২০০ এমএল ধনেপাতা আহারে গ্যাসের ব্যথা ওঠা, পেটে ব্যথা, পেট ফুলে ওঠা, বমি হওয়া এমনকি পাতলা পায়খানা হওয়ারও সম্ভাবনা দেখা যায়।
৪. ডায়রিয়া :
ধনেপাতা অল্প খেলে পেটের সমস্যা দূর হয় কিন্তু এটি বেশি পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়া এর ফলে ডিহাইড্রেশন হতে থাকে। ফলে ডায়রিয়ার সমস্যাটি হতেই থাকে। তাই এই ধরনের সমস্যা এড়াতে প্রতিদিনের খাবারে ধনেপাতা কম পরিমাণে ব্যবহার করুন।
৫. নিঃশ্বাসের সমস্যা :
আপনি যদি শ্বাসকষ্টের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে এই ধনেপাতা আহার থেকে বিরত থাকুন। কেননা এটি আপনার শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা করে থাকে যার ফলে ফুসফুসে অ্যাজমার সমস্যা হতে পারে। এই ধনেপাতা খেলে মাঝে মাঝে ছোট ছোট নিশ্বাস নিতেও সমস্যা তৈরি হয়।
৬. বুকে ব্যথা :
অতিরিক্ত ধনেপাতা আহারে বুকে ব্যথার মত জটিল সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এটা শুধুমাত্র অস্বস্তিকর ব্যথাই সৃষ্টি করে না তা দীর্ঘস্থায়ীও হয়ে থাকে। এজন্য এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে দৈনন্দিন আহারে কম করে এই ধনেপাতা খেতে পারেন।
৭. ত্বকের সংবেদনশীলতা :
সবুজ ধনেপাতাতে মোটামুটিভাবে কিছু ঔষধি অ্যাসিডিক উপাদান থাকে যেটি ত্বককে সূর্যরশ্মি থেকে বাঁচিয়ে সংবেদনশীল করে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত সেবনে সূর্যের রশ্মি একেবারেই ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না ফলে ত্বক ভিটামিন কে থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া ধনেপাতা ত্বকের ক্যান্সার প্রবণতাও তৈরি করে থাকে।
৮. অ্যালার্জীর সমস্যা :
ধনেপাতার প্রোটিন উপাদানটি শরীরে আইজিই নামক অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানকে সমানভাবে বহন করে থাকে। কিন্তু এর অতিরিক্ত মাত্রা উপাদানগুলোর ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে। ফলে অ্যালার্জীর তৈরি হয়। এই অ্যালার্জীর ফলে দেহে চুলকানি, ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া করা, র‌্যাশ ওঠা এই ধরনের নানা সমস্যা হয়ে থাকে।
৯. প্রদাহ :
অতিরিক্ত ধনেপাতা সেবনের আরেকটি বিশেষ পার্শ্ব প্রতক্রিয়া হল মুখে প্রদাহ হওয়া। এই ঔষধিটির বিভিন্ন এসিডিক উপাদান যেটি আমাদের ত্বককে সংবেদনশীল করে থাকে পাশাপাশি এটি মুখে প্রদাহেরও সৃষ্টি করে। বিশেষ করে এর ফলে ঠোঁট, মাড়ি এবং গলা ব্যথা হয়ে থাকে। এর ফলে সারা মুখ লাল হয়েও যায়।
১০. ভ্রূণের ক্ষতি :
গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়া ভ্রূণের বা বাচ্চার শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। ধনেপাতাতে থাকা কিছু উপাদান মহিলাদের প্রজনন গ্রন্থির কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করে ফেলে যার ফলে মহিলাদের বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা লোপ পায় এবং বাচ্চা ধারণ করলেও গর্ভকালীন ভ্রূণের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে।

আরো পোষ্ট পেতে, আমাদের #page ঘুরে আসুন। radioclassic.com

Sunday, September 4, 2016

অল্প সময়ে দ্রুত চুল লম্বা করার ৩টি দারুণ উপায়.কাজে আসবে share করে টাইম লাইনে save করে রাখুন।

অল্প সময়ে দ্রুত চুল লম্বা করার ৩টি দারুণ উপায়
========================================
চুল লম্বা হয় না! আজকাল অনেকেরই এটাই অভিযোগ। অবশ্য আধুনিক জীবন যাত্রায় এত দূষণ, স্ট্রেস আর পুষ্টির অভাবের মাঝে এটাই তো স্বাভাবিক। চুল সুন্দর রাখতে হলে ভালো মত ঘুমাতে হবে, পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করতে হবে, চুল পরিষ্কার রাখতে হবে ইত্যাদি আমরা সবাই জানি।
কিন্তু চুল লম্বা করতে হলে কী করতে হবে? জেনে নিন দ্রুততম পদ্ধতিতে চুল লম্বা করার ৩টি অব্যর্থ কৌশল।

নিয়মিত মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন
-----------------------------------------------
নানী-দাদীরা বলতেন না যে তেল দিলে চুল লম্বা হয়? আসলে কিন্তু তেলে চুল লম্বা হয় না, চুল লম্বা হয় তেল দেয়ার সময় মাথায় যে ম্যাসাজ করা পড়ে, ঠিক সেই কারণে। চুলের গোঁড়ায় ম্যাসাজ করলে এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলে চুলের ফলিকল গুলো উদ্দীপিত হয়, চুল পড়া বন্ধ হয় এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
সপ্তাহে কমপক্ষে দুদিন তেলদিয়ে ভালো করে চুলের গোঁড়ায় ম্যাসাজ করুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। বাড়তি সুবিধা হিসাবে তেলের কারণে চুলে ডিপ কন্ডিশনিং-এর কাজটাও হয়ে যাবে। চুলে তেল দিতে না চাইলে কেবল আঙ্গুল দিয়েও নিজের মাথার ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। বা চুলে শ্যাম্পু করার সময়েই ম্যাসাজের কাজ সেরে নিতে পারেন।
মহৌষধ ক্যাস্টর অয়েল
-------------------------------
ক্যাস্টর অয়েল হচ্ছে চুল ঘন ও এর বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার সবচাইতে দারুণ উপায়। ভিটামিন ই এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ এই তেলের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। বরং চুল দ্রুত বড় করতে দারুণ ভূমিকা রাখে এই তেল।
সমান সমান পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল ও নারিকেল তেল/অলিভ অয়েল/ বাদাম তেল ইত্যাদি পরস্পরের সাথে মিশিয়ে নিন রবং চুলের গোঁড়ায় ম্যাসাজ করে লাগান। ৩০-৩৫ মিনিট চুলে রাখুন, তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে কমপক্ষে দুবার করবেন। দুবার না পারলে কমপক্ষে একবার। স্ট্রেস কমাতে চাইলে যোগ করতে পারেন কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল।
একটি বিশেষ হেয়ার মাস্ক
---------------------------------
চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে ত্বরান্বিত করতে ডিমের কোন জুড়ি নেই। ডিমে আছে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন এবং আয়রন, ফসফরাস, জিংক, সেলেনিয়াম, সালফার। একটি বা দুটি ডিম নিন চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী। সাথে যোগ করে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কয়েক চামচ। এই মিশ্রণ চুলে ম্যাসাজ করে লাগান। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলুন। মাথায় খুশকি থাকলে যোগ করুন কয়েক চামচ লেবুর রস।
ঘন কালো লম্বা চুলে বহুগুণে হেসে উঠুক আপনার সৌন্দর্য। ভালো থাকুন। 
কাজে আসবে #share করে টাইম লাইনে #save করে রাখুন।
আরো পোষ্ট পেতে, আমাদের #page ঘুরে আসুন। radioclassic.com