Friday, November 6, 2020
ইয়াবা সম্পর্কে ভয়ানক কিছু তথ্যঃ
💢সবাইকে জানাতে শেয়ার করুন💢
ইয়াবা সম্পর্কে ভয়ানক কিছু তথ্যঃ-
ইয়াবা মূলত মায়ানমারের শান প্রদেশে পাহাড়ে ঘোড়াদের খাওয়ানো হতো।
কেননা ঘোড়া পাহাড়ে কোন গাড়ি সহজে টানতে চাইত না, পরে ঘোড়াকে পাগলা করে দিতে বার্মিজরা এই ড্রাগ তৈরি করে।
থাইল্যান্ডে এর নাম ম্যাড ড্রাগ, ইন্ডিয়াতে নাম ভুলভুলাইয়া আর বাংলাদেশে বাবা এছাড়াও নাজি, স্পিড, হিটলার্স ড্রাগ, চকোলি নামেও এটি পরিচিত। এই ঘোড়ার ট্যাবলেট পরবর্তীতে প্রচন্ড কায়িক শ্রম করে এমন মানুষরা নেয়া শুরু করে এবং এরপর এটা থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের প্রষ্টিটিউটরা নিতে শুরু করে। বার্মা এর মূল তৈরির স্থান হলেও তারা কেবল এক্সপোর্ট করে, সেবনকারীর সংখ্যা সেখানে কম কারন তারা জানে জিনিসটা কি এবং কতটা খারাপ।
ইয়াবা তৈরিতে ভয়াবহ রাসয়নিক উপকরণঃ
ইয়াবার মূল উপাদান মেথামফেটামিন ও ক্যাফেইন। মেথামফেটামিন জিনিসটা দিয়ে তৈরি একটা ট্যাবলেট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈন্যদের জাগিয়ে রাখতে ব্যাবহার করা হত এবং ১৯৫০ এর দিকে জাপানে মেথামফেটামিন ব্যাপক ভাবে ব্যাবহৃত হয়েছে। বর্তমানে যে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি হয় তাতে মেশানো হয় হাইড্রোক্লোরিক এসিড, এসিটোন (যা মূলত নেইল পলিশ রিমুভার), রেড ফসফরাস, ব্যাটারির লিথিয়াম ও সালফিউরিক এসিড। আশা করি কেমিক্যাল গুলোর নাম শুনে কিছুটা ভয়াবহতার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে।
ইয়াবার এ্যাকশন কেন ভয়াবহ ..?
মেথামফেটামিন ও ক্যাফেইন হল দুটি মস্তিস্কের উত্তেজক পদার্থ। ইয়াবা সেবনে মুলত এই মেথামফেটামিন ও ক্যাফেইন সেবনকারীকে বেপরোয়া করে দেয়।
তালপাতার সেপাই নিজেকে মহাবীর আলেকজান্ডার ভাবা শুরু করে এবং যে কোন অপরাধ করার সিদ্ধান্তে যেতে তার বিবেক বাধা দেয়না।
ইয়াবার ভয়ানক সাইড ইফেক্টঃ
বলা হয় যে একটা দুইটা ইয়াবা সেবন করলেই মস্তিস্কের কিছু ছোট রক্তনালী নষ্ট হয় এবং নিয়মিত করলে, খুব অল্প বয়সে ব্রেইন ষ্ট্রোক করে প্যারালাইজড বা চলাচলে অক্ষম হওয়ার সম্ভাবনা ৯৫%। এছাড়া ওজন কমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা, হ্যালুসিনেশন, উন্মাদের মত আচরন, গোয়ার্তুমি এবং পুরুষত্ব হারানো ও বন্ধ্যত্ব হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। যে সব কেমিক্যালের কথা বললাম যা বাবাতে আছে তাতেই বোঝা যায় একশন কি হবে।
পরিচিত কেউ সেবন করলে তাকে বলে দিতে হবে ৩৫-৪৫ এর মধ্যে একটা ষ্ট্রোক আর তিলেতিলে নিজের দেহ নিঃশেষ হওয়া দেখার জন্য তৈরি হতে থাকুন।
ইয়াবাকে না বলুন। মাদককে না বলুন।
জাহান্নাম কেমন হবে?
জাহান্নাম কেমন হবে?
০১| জাহান্নামের গভীরতা এমন যে, এর মুখ
থেকে একটি পাথর ফেলে দিলে জাহান্নামের
তলদেশে পৌছাতে ৭০ বছর সময় লাগে। বিচারের
দিন জাহান্নাম কে ৭০ হাজার শিকল দ্বারা টেনে আনা হবে যার প্রত্যেক শিকল ৭০ হাজার ফেরেশতা বহন করবেন।
০২| জাহান্নামে চাঁদ এবং সূর্যকে নিক্ষেপ করা হবে৷
আর জাহান্নামে তা অবলীলায় হারিয়ে যাবে।
০৩| জাহান্নামবাসীর শরীরের চামড়া ১২৬ ফুট পুরো
করে দেওয়া হবে যাতে করে আযাব অত্যন্ত
ভয়াবহ হয়, তাদের শরীরে আরও থাকবে তিল যার
একএকটি হবে উহুদ পাহাড়ের সমান। আর জাহান্নামবাসীর বসার জায়গা হবে মক্কা থেকে
মদীনা পর্যন্ত দূরত্বের সমান।
০৪| প্রতিদিন জাহান্নামের আযাব পূর্বের দিন থেকে
আরও তীব্র আর ভয়াবহ করা হবে।
০৫| জাহান্নামের খাদ্য হবে কাঁটা যুক্ত গাছ আর
পানীয় হবে ফুটন্ত পানি, পুঁজ, পুঁজও রক্তের মিশ্রণ
এবং উত্তপ্ত তেল, এরপরও জাহান্নামবাসীর পিপাসা
এতবেশি হবে যে, তারা এই পানীয় পান করতে
থাকবে।
০৬| জাহান্নামের এই ভয়াবহ কল্পনাতীত আযাব
অনন্ত কালধরে চলতে থাকবে, জাহান্নামবাসীরা
এক পর্যায়ে জাহান্নামের দেয়াল টপকিয়ে পালাতে
চেষ্টা করলে তাদেরকে লোহার হাতুড়ি দ্বারা আঘাত করে ফেলে দেওয়া হবে।
“হে আল্লাহ, আমাদেরকে তুমি জাহান্নাম থেকে
রক্ষা কর----
আমিন সুম্মা আমিন”
Sunday, November 1, 2020
১১৪ টি সূরার নাম ও বাংলা অর্থ
০১: সুরাঃ ফাতিহা - অর্থ = সূচনা
০২: সুরাঃ বাক্বারাহ - অর্থ =গাভী
০৩: সুরাঃ আলে-ইমরান - অর্থ = ইমরানের
পরিবার
০৪: সুরাঃ নিসা - অর্থ = নারী জাতি
০৫: সুরাঃ মায়িদাহ - অর্থ = খাদ্যপরিবেশিত
টেবিল
০৬: সুরাঃ আন'আম - অর্থ = গৃহপালিত পশু
০৭: সুরাঃ আ'রাফ - অর্থ =উচ্চস্থানসমূহ
০৮: সুরাঃ আনফাল - অর্থ =যুদ্ধলব্ধ ধনসম্পদ
০৯: সুরাঃ তাওবা - অর্থ =অনুশোচনা
১০: সুরাঃ ইউনূস - অর্থ =হযরত ইউনুস (আঃ)
১১: সুরাঃ হুদ - অর্থ =হযরত হুদ (আঃ)
১২: সুরাঃ ইউসুফ - অর্থ = হযরত ইউসুফ(আঃ)
১৩: সুরাঃ রা'দ - অর্থ =বজ্রপাত
১৪: সুরাঃ ইব্রাহীম - অর্থ =হযরতইবরাহীম(আঃ) ১৫: সুরাঃ হিজর - অর্থ =পাথরের পাহাড়
১৬: সুরাঃ নাহল - অর্থ =মৌমাছি
১৭: সুরাঃ বনী ইসরাইল - অর্থ =ইসরাইলের
বংশধর
১৮: সুরাঃ কাহফ - অর্থ =গুহা।
১৯: সুরাঃ মারইয়াম - অর্থ =ঈসা (আঃ) এর
মাতার নাম
২০: সুরাঃ ত্ব-হা - অর্থ =দুটি আরবি হরফ
২১: সুরাঃ আম্বিয়া - অর্থ =নবীগণ
২২: সুরাঃ হাজ্জ - অর্থ = মহাসম্মেলন
২৩: সুরাঃ মু'মিনুন - অর্থ =বিশ্বাসীগণ
২৪: সুরাঃ নূর - অর্থ =জ্যোতি
২৫: সুরাঃ ফুরক্বান - অর্থ =পার্থক্যকারী
২৬: সুরাঃ শু'আরা - অর্থ =কবিগণ
২৭: সুরাঃ নামল - অর্থ =পিপীলিক
২৮: সুরাঃ ক্বাসাস - অর্থ =কাহিনী
২৯: সুরাঃ আনকাবূত - অর্থ =মাকড়সা
৩০: সুরাঃ রূম - অর্থ =রোমান জাতি
৩১: সুরাঃ লুকমান - অর্থ =একজন প্রজ্ঞাবান
অলির নাম
৩২: সুরাঃ সাজদাহ - অর্থ =সিজদা
৩৩: সুরাঃ আহযাব - অর্থ =সংযুক্ত শক্তিসমূহ
৩৪: সুরাঃ সাবা - অর্থ =একটি নগরের নাম
৩৫: সুরাঃ ফাতির - অর্থ =আদিস্রষ্টা
৩৬: সুরাঃ ইয়াসিন - অর্থ =ইয়াসিন
৩৭: সুরাঃ সাফ্ফাত - অর্থ =সারিবদ্ধভাবে
দাঁড়ানো
৩৮: সুরাঃ সোয়াদ - অর্থ =একটি আরবি হরফ
৩৯: সুরাঃ যুমার - অর্থ =দলবদ্ধ জনতা
৪০: সুরাঃ মুমিন - অর্থ =বিশ্বাসী
৪১: সুরাঃ ফুসসিলাত (হামীম সিজদাহ)
-অর্থ =সুস্পষ্টবিবরণ।
৪২: সুরাঃ শূরা - অর্থ =পরামর্শ
৪৩: সুরাঃ যুখরূফ - অর্থ =স্বর্ণালংকার
৪৪: সুরাঃ দুখান - অর্থ =ধোঁয়া
৪৫: সুরাঃ জাছিয়াহ - অর্থ =নতজানু
৪৬: সুরাঃ আহক্বাফ - অর্থ =বালুর পাহাড়
৪৭: সুরাঃ মুহাম্মদ - অর্থ =সর্বশেষ নবী ও
রাসূলের নাম
৪৮: সুরাঃ ফাত্হ - অর্থ =বিজয়
৪৯: সুরাঃ হুজুরাত - অর্থ =বাসগৃহসমূহ
৫০: সুরাঃ ক্বাফ - অর্থ =একটি আরবি হরফ
৫১: সুরাঃ যারিয়াত - অর্থ =বিক্ষেপকারী
৫২: সুরাঃ তূর - অর্থ =তুর পর্বত
৫৩: সুরাঃ নাজম - অর্থ =তারকা
৫৪: সুরাঃ ক্বামার - অর্থ =চাঁদ
৫৫: সুরাঃ আর-রাহমান - অর্থ =পরম করুণাময়
৫৬: সুরাঃ ওয়াক্বিয়া - অর্থ =নিশ্চিত ঘটনা
৫৭: সুরাঃ হাদীদ - অর্থ =লোহা
৫৮: সুরাঃ মুজাদিলাহ - অর্থ =অনুযোগকারী নারী
৫৯: সুরাঃ হাশর - অঅর্থ =মহাসমাবেশ
৬০: সুরাঃ মুমতাহিনা - অর্থ =পরীক্ষা সাপেক্ষ নারী
৬১: সুরাঃ সাফ - অর্থ =সারিবদ্ধ সৈন্যদল
৬২: সুরাঃ জুমুআহ - অর্থ =সম্মেলন
৬৩: সুরাঃ মুনাফিকুন - অর্থ =কপট বিশ্বাসীগণ
৬৪: সুরাঃ তাগাবুন - অর্থ =মহা বিজয়
৬৫: সুরাঃ তালাক - অর্থ =বিচ্ছেদ
৬৬: সুরাঃ তাহরীম - অর্থ =নিষিদ্ধকরণ
৬৭: সুরাঃ মূলক - অর্থ =সার্বভৌম কর্তৃত্ব
৬৮: সুরাঃ ক্বালাম - অর্থ =কলম
৬৯: সুরাঃ হাক্ক্বাহ – অর্থ =নিশ্চিত সত্য
৭০: সুরাঃ মা'আরিজ - অর্থ =উন্নয়নের সোপান
৭১: সুরাঃ নূহ - অর্থ =হযরত নুহ (আঃ)
৭২: সুরাঃ জ্বিন - অর্থ =জ্বিনজাতি
৭৩: সুরাঃ মুয্যাম্মিল - অর্থ =কম্বল আবৃত নবী
৭৪: সুরাঃ মুদ্দাসসির - অর্থ =চাদর আবৃত নবী
৭৫: সুরাঃ ক্বিয়ামাহ - অর্থ =পুনরুত্থান
৭৬: সুরাঃ দাহর - অর্থ =মানবজাতি
৭৭: সরাঃ মুরসালাত - অর্থ=প্রেরিত পুরুষগণ
৭৮: সুরাঃ নাবা - অর্থ =মহা সংবাদ
৭৯: সুরাঃ নাযিয়াত - অর্থ =প্রচেষ্টাকারী
৮০: সুরাঃ আবাসা - অর্থ=তিনি ভ্রুকুটি করলেন
৮১: সুরাঃ তাকবীর - অর্থ=অন্ধকারাচ্
ছন্ন
৮২: সুরাঃ ইনফিত্বার - অর্থ =বিদীর্ণকরণ
৮৩: সুরাঃ মুতাফ্ফিফীন - অর্থ =প্রবঞ্চনা করা
৮৪: সুরাঃ ইনশিক্বাক্ব - অর্থ =চূর্ণবিচূর্ণকরণ
৮৫: সুরাঃ বুরূজ - অর্থ=নক্ষত্রপুঞ্জ
৮৬: সুরাঃ ত্বারিক্ব - অর্থ =রাতের আগন্তুক
৮৭: সিরাঃ আ'লা - অর্থ =সর্বোউপরে
৮৮: সুরাঃ গ্বাশিয়াহ্ - অর্থ =বিহ্বলকারী ঘটনা
৮৯: সুরাঃ ফাজর - অর্থ =ভোরবেলা
৯০: সুরাঃ বালাদ - অর্থ =নগর
৯১: সুরাঃ শামস - অর্থ =সূর্য
৯২: সুরাঃ লাইল - অর্থ=রাত্রি
৯৩: সুরাঃ দোহা - অর্থ =পূর্বাহ্নের সূর্যকিরণ
৯৪: সুরাঃ ইনশিরাহ - অর্থ =বক্ষ প্রশস্তকরণ
৯৫: সুরাঃ তীন - অর্থ =ডুমুর জাতীয় ফল
৯৬: সুরাঃ আলাক - অর্থ =রক্তপিণ্ড
৯৭: সুরাঃ ক্বদর - অর্থ =মহিমান্বিত
৯৮: সুরাঃ বাইয়্যিনাহ - অর্থ =সুস্পষ্ট প্রমাণ
৯৯: সুরাঃ যিলযাল - অর্থ =ভূমি কম্পন
১০০:সুরাঃ আদিয়াত - অর্থ =অভিযানকারী
১০১:সুরাঃ ক্বারি'আহ - অর্থ =মহা সংকট
১০২:সুরাঃ তাকাছুর - অর্থ =প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা
১০৩: সুরাঃ আসর - অর্থ =সময়/যুগ
১০৪: সুরাঃ হুমাযাহ - অর্থ =পরনিন্দাকারী
১০৫: সুরাঃ ফীল - অর্থ =হাতি
১০৬: সুরাঃ ক্বুরাইশ - অর্থ =একটি গোত্রের নাম
১০৭: সুরাঃ মা'ঊন - অর্থ =সাহায্য\সহযোগিতা
১০৮: সুরাঃ কাওসার - অর্থ =প্রাচুর্য
১০৯: সুরাঃ কাফিরূন - অর্থ =অবিশ্বাসী গোষ্ঠী
১১০: সুরাঃ নাসর - অর্থ =স্বর্গীয় সাহায্য
১১১: সুরাঃ লাহাব - অর্থ =জ্বলন্ত অঙ্গার
১১২: সুরাঃ ইখলাস - অর্থ =একত্ব
১১৩: সুরাঃ ফালাক্ব - অর্থ =নিশীভোর
১১৪: সুরা : নাস - অর্থ =মানুষ জাতি
Subscribe to:
Posts (Atom)