Saturday, March 3, 2018

সাগরের মাছ ও শুটকি বিষয়ে ইসলামের বিধান।কাজে আসবে,শেয়ার করে পোস্টটি আপনার প্রোফাইল এ রেখে দিন।

সাগরের মাছ ও শুটকি বিষয়ে ইসলামের বিধান।কাজে আসবে,শেয়ার করে পোস্টটি আপনার প্রোফাইল এ রেখে দিন।
তিনিই সমুদ্রকে (তোমাদের) অধীন করেছেন, যাতে তোমরা তা থেকে তাজা গোশত আহার করতে পারো এবং যাতে তা থেকে রত্নাবলি আহরণ করতে পারো, যা তোমরা অলংকাররূপে পরিধান করো। তোমরা দেখতে পাও সমুদ্রের বুক চিরে জলযান চলাচল করে।
এটা এ জন্য যে যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পারো এবং তোমরা যেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো। (সুরা : নাহল, আয়াত : ১৪)
তাফসির
এ আয়াতে সমুদ্রে মানুষের জন্য যে উপকারী বস্তু রয়েছে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। স্থলভূমিতে পশু পালনের জন্য মানুষকে অনেক কষ্ট করতে হয়। কিন্তু সমুদ্রে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জাতের মাছের ব্যবস্থা করেছেন। মাছ খাদ্য হিসেবে যেমন উত্কৃষ্ট, তেমনি সহজলভ্য। আর সাগরে পাওয়া যায় অত্যন্ত মূল্যবান অলংকারসামগ্রী। এ ছাড়া যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের জন্য জলপথ সব যুগেই খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এসবই আল্লাহ তাআলা মানুষের সেবায় নিয়োজিত করেছেন। মানুষের উচিত, আল্লাহর এসব নিয়ামত ভোগ করে তাঁর কৃতজ্ঞতা আদায় করা।
আলোচ্য আয়াতে মহান আল্লাহ মাছকে বিশেষ খাদ্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ আয়াতে ‘তাজা মাছ’ বোঝাতে ‘টাটকা গোশত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ইঙ্গিত করা হয়েছে, অন্যান্য হালাল জীবের মতো মাছকে জবাই করা জরুরি নয়। এ যেন আপনাআপনি তৈরি ‘গোশত’! এ ছাড়া হাদিসে মৃত মাছ খাওয়া বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। মানবজীবনে মাছের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে ইহরাম অবস্থায়ও মাছ শিকারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
নে একাধিক আয়াত আছে। আয়াতগুলোর বাচনভঙ্গি থেকে বোঝা যায়, মানুষের কল্যাণে মাছ শিকারের প্রচলিত পদ্ধতিগুলো যেমন আঁকড়া, কোঁচ, বড়শি, জাল ইত্যাদির মাধ্যমে মাছ ধরা হালাল করে দেওয়া হয়েছে।
মাছ ও জলজ প্রাণীর বিধানে এমন নমনীয়তা প্রদর্শন সত্যি আল্লাহর বিশেষ করুণা ও অনুগ্রহের পরিচায়ক। সুতরাং এ নিয়ামতের যথাযথ ব্যবহার ও শুকরিয়া আদায় করাও বান্দার অপরিহার্য কর্তব্য। তাই যেকোনো উপায়ে মাছের বংশ নির্মূল করা, শত্রুতাবশত কারো পুকুরে বিষাক্ত দ্রব্য মিশ্রিত করা গর্হিত অপরাধ। কেননা নিয়ামতের অকৃতজ্ঞতা ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নিয়ামত ছিনিয়ে নেওয়ার অন্যতম কারণ।
মত্স্য শুঁটকির বিধান
মাছকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণের একটি বিশেষ পদ্ধতি হলো, মাছ শুকিয়ে শুঁটকি করে ভক্ষণ করা। ইসলামী শরিয়তে মানুষের কল্যাণে এরও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, ‘কোরআনে মত্স্য শুঁটকি করে খাদ্য গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া হাদিসে এসেছে, হজরত আবু উবাইদাহ ইবনে জাররাহ (রা.)-এর নেতৃত্বে উপকূলবর্তী অঞ্চলে এক দল সাহাবি প্রেরিত হন। প্রেরিত সাহাবি দল খাদ্য-রসদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর নদীর তীরে একটি বৃহদাকার মাছ দেখতে পায়। মাছটি দেখতে উঁচু টিলার মতো ছিল। মাছটির পাঁজরের দুই হাড়ের মধ্য দিয়ে সওয়ারিসহ একটি উট অবলীলায় চলে গিয়েছিল। মাছটির চোখের কোটরে ১৩ জন লোক বসেছিল। ৩০০ জন সাহাবি একাধারে ১৮ দিন পর্যন্ত সেই মাছটি আহার করে কিছু অংশ মদিনায় নিয়ে এসে রাসুল (সা.)-কে হাদিয়া দেন। রাসুল (সা.) তা আহার করেন। মাছটির নাম ছিল আম্বর। এ হাদিসটি শুঁটকি বৈধ হওয়ার অন্যতম দলিল।

প্রতি মুহুর্তের সর্বশেষ tips পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিন


●••• ভাল লাগলে শুধু একটা #thnx •••●
সংক্ষেপে কমেন্ট করুন..
T= (Tnks)
N= (Nice)
💢সবাইকে জানাতে শেয়ার করুন💢
অবশ্যই আমাদের এই পেইজটিতে লাইক দিয়ে যাবেন
https://www.facebook.com/radioclassicbd/
লেখাটি ভাল লাগলে কিংবা উপকারে আসলে সবাইকে জানাতে শেয়ার করুন

No comments:

Post a Comment