Friday, July 22, 2016

চুলকানির সমস্যার সমাধান কী?কাজে লাগবে টাইমলাইনে share করে রাখুন।

চুলকানির সমস্যার সমাধান কী?
চুলকানির সমস্যার সমাধান :
-1
চুলকানির সমস্যা হল ত্বকের অ্যালার্জিজনিত একটি সমস্যা। এর থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
লেবুর ব্যবহার
লেবুর অ্যারোমেটিক যৌগের রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যানেস্থেটিক উপাদান যা ত্বকের চুলকানি ও জ্বালাময় অনুভূতি দূর করতে সহায়তা করে। লেবুর রস সরাসরি চুলকানির স্থানে লাগালে অনেক ভালো উপকার পেয়ে যাবেন। তবে যদি লেবুতে ত্বকের অ্যালার্জি থাকে তাহলে সরাসরি লেবু ব্যবহার করবেন না।
বেকিং সোডার ব্যবহার
৩:১ অনুপাতে বেকিং সোডা ও পানির মিশ্রন তৈরি করে পেস্টের মতো বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। অনেকটা আরাম পাবেন এবং চুলকানির সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তবে ত্বকে কোনো ধরণের ক্ষত থাকলে তার উপরে বেকিং সোডা লাগাবেন না।
মধু ও দারুচিনির ব্যবহার
সমপরিমাণ দারুচিনির গুঁড়োর সাথে মধু মিশিয়ে মিশ্রন তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি আক্রান্ত স্থানে ভালো করে লাগিয়ে নিন। খানিকক্ষণ অপেক্ষা করুন অথবা আপনার চুলকানির অনুভূতি দূর হওয়া পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
নিমপাতার ব্যবহার
২ লিটার পানিতে ২০-২৫ টি নিমপাতা দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর ছেঁকে ঠাণ্ডা করে নিন নিমপাতা ফুটানো পানি। এই পানি গোসলের সময় গায়ে ব্যবহার করতে পারেন অথবা ফ্রিজে বরফ জমিয়ে বরফ দিয়ে আক্রান্ত স্থান ঘষে নিতে পারেন। ভালো ফলাফল পাবেন।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা চুলকানি প্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারী। গোসলের সময়ে হালকা গরম পানিতে বেকিং সোডা দিয়ে গোসল করলে শরীরের চুলকানি অনেকটাই কমে যায়। এক্ষেত্রে একটি চৌবাচ্চাতে ১ কাপ বেকিং সোডা মেশাতে হবে এবং বড় এক বালতি পানিতে ১/২ কাপ বেকিং সোডা মেশাতে হবে। বেকিং সোডা মেশানো পানিতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট শরীর ভিজিয়ে রাখার পর শরীর পানি দিয়ে না ধুয়ে শুকিয়ে ফেলতে হবে।
লেবু
লেবুর রসে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ত্বকের চুলকানি কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। চুলকানির প্রতিকার পাওয়ার জন্য লেবুর রস ব্যবহার করাও খুব সহজ। ত্বকের যে স্থানে চুলকানি অনুভূত হচ্ছে সেখানে লেবুর রস লাগিয়ে শুকিয়ে ফেলুন। চুলকানি কমে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।
তুলসী পাতা
তুলসী পাতায় আছে ইউজেনল যা একটি অ্যান্সথেটিক উপাদান। এই উপাদানটি চুলকানি কমিয়ে দিতে সহায়ক। এক মগ ফুটন্ত পানিতে ১৫/২০টি তুলসী পাতা জ্বাল দিয়ে নির্যাস বের করে নিন। এরপর একটি পরিষ্কার টাওয়েলে পানিটি লাগিয়ে হালকা গরম থাকা অবস্থাতেই চুলকানির স্থানে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ আরাম অনুভূত হবে।
পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতারও আছে অ্যান্সথেটিক ও ইনফ্লেমেটরি উপাদান। চুলকানির প্রতিসেধক হিসেবে তাই পুদিনা পাতাও অত্যন্ত উপকারী। এক মগ ফুটন্ত পানিতে এক আউন্স পুদিনা পাতা জ্বাল দিয়ে নির্যাস তৈরি করে নিন। এরপর এই পানিটি চুলকানির স্থানে লাগিয়ে রাখুন। চুলকানি কমে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।
অ্যালোভেরা
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহারের কথা তো সবাই জানেন। চুলকানি প্রতিকারেও অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। ত্বকের যে স্থানে চুলকানি হচ্ছে সেখানে একটি তাজা অ্যালোভেরা পাতা থেকে রস বের করে লাগিয়ে রাখুন। চুলকানি কমে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।
plz, like our page (RadioClassic. com)
বিবাহিতরা আমাদের গোপন post পড়তে পারেন।

No comments:

Post a Comment